কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রোববার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই ছাত্রী উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের শ্যামল সমাজদারের মেয়ে এবং সাতাশিয়া শরিফুল-মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযোগে জানা গেছে, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ওই ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়। পথে একই গ্রামের বরুণ বিশ্বাসের ছেলে (২০) তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। স্কুল ছুটির পর ওই ছাত্রী বাড়িতে না ফেরায় সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করেও মেয়ের কোনো খবর না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা শ্যামল সমাজদার।
ছাত্রীর বাবা শ্যামল সমাজদার (৪৫) বলেন, ‘পাশের বাড়ির বরুণ বিশ্বাসের ছেলে গোপাল বিশ্বাস আমার মেয়েকে প্রায়ই স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি গোপালের বাবা-মাকে একাধিকবার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। উল্টো গোপাল আমাদের বাড়ির পাশে তার বন্ধুদের নিয়ে এসে আড্ডা দেয় এবং ক্যারাম খেলে। শনিবার সকালে আমার মেয়ে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়। পথে গোপাল তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।’
স্কুল ছাত্রীর দাদী রুপসী সমাজদার (৬৫) কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার পুতনীকে গোপাল বিশ্বাস স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই বিরক্ত করে। শনিবার স্কুলে যাওয়ার পথে আমার পুতনিকে গোপাল নিয়ে যায়।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশীষ কুমার মিস্ত্রী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকালে মেয়ের বাবা আমার কাছে আসেন। আমি তার আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে তার মেয়ের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে বলি। এক পর্যায় বিষয়টি ছেলের বাবা আমার কাছে স্বীকার করলে আমি তাকে মেয়ে উদ্ধার করে তার অভিভাবকদের কাছে বুঝে দিতে বলি। কিন্তু তিন দিন অতিবাহিত হলেও তিনি তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
এ ব্যাপারে গোপালের বাবা বরুণ বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তার ছেলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে চলে গেছে স্বীকার করে বলেন, ‘আজ সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের আমি যেভাবেই হোক হাজির করবো।’
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিয়ানী থানার এএসআই এম,এ খায়ের বলেন, দবিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয় কি না দেখছি এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’